কাজী নজরুল ইসলাম
গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা ও তথ্যাবলি
লেখক পরিচিত:
জন্ম: ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬), পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম।
মৃত্যু: ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে আগস্ট (১২ই ভাদ্র ১৩৮৩), ঢাকা।
পিতা: কাজী ফকির আহমেদ
মাতা: জাহেদা খাতুন
উল্লেখযোগ্য রচনা:
উপন্যাস: বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা।
গল্পগ্রন্থ: ‘ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা। প্রবন্ধ গ্রন্থ: যুগ-বাণী, দুর্দিনের যাত্রী, রুদ্র-মঙ্গল, রাজবন্দির জবানবন্দী।
বিশেষ তথ্য :
বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত।
১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যোগদান করেন।
মাত্র তেতাল্লিশ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে নির্বাক হয়ে যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ হন।
গল্প পরিচিত:
উৎস: প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রুদ্র-মঙ্গল’ থেকে সংকলিত।
মূলভাব:
প্রবন্ধে এমন ‘আমি’-এর আবাহন প্রত্যাশা করা হয়েছে যার পথ সত্যের পথ। লেখক প্রতিটি মানুষকে পূর্ণ এক ‘আমি’র সীমায় ব্যা করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে, এক মানুষকে আরেক মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে ‘আমরা’ হয়ে উঠতে চেয়েছেন। রুদ্র-তেজে মিথ্যার ভয়কে জয় করে সত্যের আলোয় নিজেকে চিনে নিতে সাহায্য করে নজরুলের এই ‘আমি’ সত্তা তাঁর পথনির্দেশক সত্য অবিনয়কে মেনে নিতে পারে। কিন্তু অন্যায়কে সহ্য করে না। তিনি প্রয়োজনে দাম্ভিক হতে চান কিন্তু ভগ্ন আত্মবিশ্বাসের গ্লানি তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে। তাই পরাবলম্বন ত্যাগ করে স্বাবলম্বন বা নিজের উপর অটুট বিশ্বাস রাখতে হবে। ভুল জেনেও তাকে ঠিক বলে চালিয়ে নেবার ভণ্ডামি পরিত্যাগ করে ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণের দিকে নজর দিতে হবে। অন্যদিকে, মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হলে ধর্মের সত্য উন্মোচিত হবে। সম্ভব হবে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ মানব সমাজ গড়া।
• আগুনের ঝাণ্ডা হল অগ্নিপতাকা।
• সম্মার্জনা অর্থ ঘষে-মেজে পরিষ্কার করা।
* দেশের যারা শত্রু, দেশের যা কিছু মিথ্যা, ভণ্ডামি, মেকি তা সব দূর করতে প্রয়োজন হবে আগুনের সম্মার্জনা। • ভুলের মধ্য দিয়ে গিয়েই -হিন্দু-মুসলমানের মিলনের অন্তরায় বা ফাঁকি কোথায় তা দেখিয়ে গলদ দূর করা।
* আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে।
পরাবলম্বনই আমাদের নিষ্ক্রিয় করে ফেললে- একেই বলে সবচেয়ে বড় দাসত্ব।
• মহাত্মা গান্ধী শেখাচ্ছিলেন স্বাবলম্বন, নিজের ওপর অটুট বিশ্বাস করা।
আপনার সত্যকে আপনার গুরু, পথপ্রদর্শক কাণ্ডারি বলে জানা দম্ভ নয়, অহংকার নয়, আত্মকে চেনার সহজ স্বীকারোক্তি। নিজের সত্যকে অস্বীকার করায় যে বিনয়, তার চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক ভালো।
• লেখকের পথ নির্দেশক হল সত্য।
রাজভয় লোকভয় কোন ভয়ই বিপথে নিয়ে যেতে পারবে না।
• নিজেকে চিনলে মানুষের মনে আপনা-আপনি বড় একটা জোর আসে।
→ সে আপন সত্য ছাড়া আর কাউকে কুর্নিশ করে না।
→ কেউ তাকে ভয় দেখিয়ে পদানত রাখতে পারে না।